‘নাশকতার পরিকল্পনার’ অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক
নাটোরে তাশরিক জামান রিফাত (২৪) নামে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে রিফাতকে নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পরিত্যক্ত ভবনের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। তিনি পৌরসভার হাফরাস্তা এলাকার মোস্তফা জামানের ছেলে।
রিফাত পৌর ছাত্রলীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি বলে জানা গেছে। পুলিশের দাবি, রিফাতসহ অন্যরা নাশকতা সৃষ্টির জন্য বাঁশের তৈরি মশাল ও মুখোশ নিয়ে সংগঠিত হচ্ছিল।
আর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল গণমাধ্যমকে বলেছেন, রিফাত বিএনপির এজেন্ট। বিএনপির অবরোধের সমর্থনে নাশকতায় অংশ নিত তারা। আর জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের দাবি, রিফাত ছাত্রলীগের কেউ নয়।
সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার রাতে গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানতে পারেন, শহরের হাফরাস্তা এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগের জন্য মশাল, মুখোশ ও গুলাল নিয়ে সংঘটিত হচ্ছে কয়েকজন যুবক। তখন অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় দুজন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে রিফাতকে আটক করে পুলিশ।
কেরোসিনে ভেজানো ৮টি মশাল, মুখোশ ও গুলাল উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, রিফাতের রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল সাংবাদিকদের জানান, রাতে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের জন্য কয়েকজন বিএনপিকর্মী প্রস্তুতি নিচ্ছে, খবর পেয়ে পুলিশকে জানানোর পাশাপাশি তিনিও ছুটে আসেন। তাদের টার্গেট ছিল রাতে শহরের মধ্যে নাশকতা সৃষ্টি করা।
আরো পড়ুন: বাসে আগুন দেয়ার সময় বিএনপির ৩ কর্মী আটক
তবে রিফাতের বাবা মোস্তফা জামান বলেন, তার ছেলে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। নাশকতা সৃষ্টির প্রশ্নই আসে না। পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে তার ছেলেকে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৩ এপ্রিল কমিটি অনুমোদন করেন পৌর ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আব্দুল্লাহিল কাফী শুভ। কিছুদিন আগেও জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজের সঙ্গে একটি ছবিতে দেখা যায় রিফাতকে। তাকে আটকের পর ছবিটি ভাইরাল ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ বলেন, ছাত্রলীগের কোনো পৌর কমিটি নেই। ওয়ার্ড কমিটি থাকার প্রশ্নই ওঠে না। নাশকতাকারীরা কেউ ছাত্রলীগের হতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান তিনি।