দেশীয় অস্ত্র হাতে নৃত্যের ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য আটক
রাজশাহীতে দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে একদল কিশোরের উল্লাসের ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নগরীর শাহ মখদুম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- পবা উপজেলার নতুনপাড়ার বাসিন্দা মাসুমের ছেলে সোহেল রানা (২১), রাজু আহমেদের ছেলে মনিরুল ইসলাম অপূর্ব (২২), নজরুল ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম সম্রাট (২১), আব্দুর রহিমের ছেলে নাজমুস সাকিব আবির (২১), রিপন শেখের ছেলে মোহাইমিনুল শেখ (২০), জসীমউদ্দীনের ছেলে মো. জিসাদ (২০) ও বড় বনগ্রাম এলাকার আব্দুস সালাম হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন (২১)।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহ মখদুম জোন) নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, অস্ত্র হাতে একদল কিশোরের নাচানাচির একটি ভিডিও আমাদের নজরে আসে। এরপর মঙ্গলবার রাতভর ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কিশোর গ্যাংয়ের সাত সদস্যকে আমরা আটক করি। তাদের সবার বয়স ১৮ বছরের ওপরে। এ সময় ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় বেশ কিছু অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি কিশোরদের আটকের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে শাহ মখদুম থানায় মামলা করা হয়েছে।
সাত কিশোরকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহমখদুম থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, রাতেই অভিযান চালিয়ে সাত কিশোরকে আটক করেছে। তারা সবাই গাংপাড়া এলাকার। তাদের কাছ থেকে দেশীয় বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধারও করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বাজনার তালে তালে অস্ত্র উঁচিয়ে বেশ কিছু কিশোরের নাচানাচির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি ছিল ১৯ সেকেন্ডের। বলা হচ্ছিলো অস্ত্র হাতে কিশোরদের এই উল্লাসের ভিডিও রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানার গাংপাড়া এলাকার। বিষয়টি নজরে এলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের মধ্যে সাতজনকে আটক করে।
এই ভাইরাল ভিডিও এর ব্যাপারে গতকাল পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, ভিডিওটি অন্তত চার মাস আগের। নাচানাচির সময় ওরা নিজেরাই ভিডিওটা করেছিল সেটা মঙ্গলবার ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে। এই কিশোর গ্যাং গ্রুপেরই এক ছেলের নাম আরাফাত। তাকে চার দিন আগে একই গ্রুপের অন্যরা মেরেছে। আরাফাত এখন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ছেলেটাকে মারধরের কারণে তার পক্ষের কেউ ভিডিওটা ছেড়ে দিয়েছে। আরাফাতের অভিভাবক সোমবার থানায় অভিযোগ করতে এসেছিলেন। কিশোর আরাফাতের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় মামলা রেকর্ডও করা হয়েছে।