কোরআন ছুঁয়ে তিন ছাত্রলীগ নেতা বললেন, মাদক মামলায় পুলিশ ফাঁসিয়েছে
ভোলার চরফ্যাশনের তিন ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) আমিনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোরআন ছুঁয়ে তারা শপথ করে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে মুসফিকুল আলম রাফি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ২৩ আগস্ট চরফ্যাশন থানার এসআই সাইফুল-২, এসআই সিদ্দিকসহ পুলিশের কয়েকজন সদস্য সাত কেজি গাঁজা দিয়ে তাঁকেসহ ইলিয়াছ, মনির দালালকে আটক করে। আমিনাবাদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফাহাদের ইন্ধনে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।’
রাফি আরও বলেন, ‘এসআই সাইফুল ও সিদ্দিক আমাকে আর ইলিয়াছকে বিকেল ৪টায় আমিনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ তফসিল অফিসের সামনে থেকে আটক করে চরফ্যাশন পৌরসভা বিএড কলেজ চত্বরে অমানুষিক নির্যাতন করে। তারা বলে, যে ব্যাগটি কলেজের পাশ থেকে আনব তোরা সেটি সেখানে রেখেছি বলে স্বীকার করবি।
যদি স্বীকার না করিস তাহলে তোদেরকে এনকাউন্টারে দিয়ে মেরে ফেলব। সামনে গাঁজা দিয়ে আমাদের মুখ দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করে পুলিশের মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে। থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় মিথ্যা অভিযোগে আটকের কথা চিৎকার করে বললে মুখে টেপ লাগিয়ে দেয়। আমরা সাত কেজি গাঁজা মামলার আসামি হয়ে ৪২ দিন জেল খেটে এসে সংবাদ সম্মেলন করছি।
সংবাদ সম্মেলনে কোরআন ছুঁয়ে তিন ছাত্রলীগ নেতা জানান, তাঁরা যদি গাঁজার সঙ্গে জড়িত থাকেন, আল্লাহ তাঁদের মাফ করবেন না। আর যদি পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদের জীবনে কলঙ্কের দাগ লাগিয়ে সম্মানহানি করে, আল্লাহ এর দ্রুত বিচার করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তিন যুবক ও তাদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে চরফ্যাশন থানার এস আই সাইফুল বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন আছে। আপনারা যাচাই-বাচাই করে দেখেন আমরা কি মিথ্যা মামলা দিয়েছি কিনা। এলাকাবাসী থেকে তথ্য নেন।
চরফ্যাশন থানার উপ পরিদর্শক ছিদ্দিকুর রহমান জানান, তাদের কাছ থেকে মাদক পাওয়া গেছে বলেই তাদেরকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। আসামীরাতো বিভিন্ন অভিযোগ করতেই পারে।
চরফ্যাশন থানার ওসি মো.শাখাওয়াত হোসেন জানান,আমি সদ্য যোগদান করেছি। এ মামলা আমি যোগদানের আগে হয়েছে। এই মামলা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নাই। তবে মামলা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।