বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ইয়াবা মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফাঁসলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মিথ্যা ইয়াবা মামলায় আটক হয়ে ৪ মাস জেলে বন্দি ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (সিএমএম) বিচারক মোশাররফ হোসেন এ আদেশ দেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাসায় অভিযান চালান এসআই সাজ্জাদ। ওই সময় তার কাছ থেকে এক হাজার ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন তিনি। এ মামলায় চার মাস জেলে বন্দি ছিলেন ভুক্তভোগী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী। জামিনে বের হয়ে ওই ছাত্রী অভিযোগ জানান, এসআই সাজ্জাদ তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তে সত্যতা বেরিয়ে আসে।
তদন্ত সূত্র জানায়, সেদিন ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে কোনো মাদক উদ্ধার হয় নি। এমনকি যে নারী এসআইয়ের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর দেহ তল্লাশি করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল, সেই এসআই রোকেয়া আক্তার লিখিতভাবে জানিয়েছের ওই দিন তিনি অভিযানে যাননি। এমনকি ওই ছাত্রীকেও তিনি চেনেন না। তদন্তে উঠে এসেছে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে এসআই সাজ্জাদ মিথ্যা মামলা দেন।
আরও পড়ুন: স্নাতকের সনদ পেতে গাছ লাগানোর শর্ত যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানান, আদালত বলেছেন; ওই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ফাঁসিয়েছেন এসআই সাজ্জাদ। তাঁর হেফাজতে থাকা এক হাজার ইয়াবা বড়ি দিয়ে ওই ছাত্রীকে বেআইনিভাবে আটক করেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও দেন। এ জন্য এসআই সাজ্জাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আহসানুর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানিয়েছেন, তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে চারমাস জেল খাটিয়েছেন এসআই সাজ্জাদ। এ ঘটনায় তিনি এসআই সাজ্জাদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন।