স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহের ভালুকায় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে রিয়া আক্তার নামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বাটাজোর দক্ষিণ পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিয়া আক্তার আব্দুর রশিদের মেয়ে। সে বাটাজোর বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে ৪ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার মাওশা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী রিপন মিয়ার সঙ্গে রিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পরদিন বিদেশে চলে যান রিপন। নানা বিষয় নিয়ে শাশুড়ি খতেমন নেছার সঙ্গে প্রায়ই তার ঝগড়া হতো। রিয়াকে গালমন্দ ও নির্যাতন করতেন তিনি। এক দিন কয়েলের আগুন দিয়ে তার হাতও পুড়িয়ে দিয়েছেন খতেমন। নির্যাতন সইতে না পেরে ছয় মাস আগে মা-বাবার কাছে ফিরে যায় রিয়া।
শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে অনেকবার ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু নির্যাতনের ভয়ে আর যায়নি রিয়া। সে সিদ্ধান্ত নেয়, আবার স্কুলে যাবে; পড়াশোনা শেষ করে প্রতিষ্ঠিত হবে। তার মা-বাবাও রিপনের পরিবারকে জানিয়ে দেন, রিয়াকে আর তাদের বাড়ি পাঠাবেন না।
ফলো করুন-
ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন সমকাল ইউটিউব
আজ দুপুরে রিয়া স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হলে মুখোশধারী এক যুবক পিছু নেয়। বাটাজোড় এলাকায় পৌঁছাতেই পেছন থেকে চাপাতি দিয়ে রিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে সে। চিৎকার দিয়ে দৌড়াতে শুরু করলে ওই যুবক তার ঘাড়, পিঠসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ধানক্ষেতে ফেলে যায়। রিয়াকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে বলেও জানান জাহাঙ্গীর আলম।