পদত্যাগ করলেন অধ্যক্ষ ফৌজিয়া, দুর্নীতি তদন্তের দাবি
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফৌজিয়া রাশেদী প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গতকাল শনিবার ০৭ (অক্টোবর) অনুষ্ঠিত গভর্নিং বডির সভায় তাঁর এ পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে তাকে অপসারণ করা হয়। এলপিআর’এ যাওয়ার ২২ দিন পূর্বেই তিনি পদত্যাগ করলেন। তাকে শুধু অপসারণই নয় প্রতিষ্ঠানে যে দুর্নীতি করেছেন তার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ অভিভাবক ফোরাম।
রবিবার (৮ অক্টোবর) অভিভাবক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম দেওয়ান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের দাতা সদস্য খন্দকার মোস্তাক আহমেদ লোভ-লালসা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির জনৈক ছাত্রীকে ধর্ষণের সহায়তার অভিযোগে ছাত্রীর বাবার দাখিল করা মামলায় ২ নং আসামী থাকার কারণে এবং শিক্ষা প্রশাসন ও অভিভাবকদের ব্যাপক চাপের মুখে গত ২১ সেপ্টেম্বর শারীরিক অসুস্থতার অজুহত দেখিয়ে অধ্যক্ষ ফৌজিয়া রাশিদী পদত্যাগপত্র দাখিল করতে বাধ্য হন। এর পূর্বে অধ্যক্ষ হুইল চেয়ারে বসে হাইকোর্টে গিয়া উক্ত মামলায় ৬ সপ্তাহে অগ্রীম জামিন নেন। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি নিম্ন আদালত ঢাকার জজ কোর্ট থেকে জামিন নিয়া ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত গভর্নিং বডির সভায় উপস্থিত থাকেন।
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান ফাহিমউদ্দিন আহমদে ও সাধারণ সম্পাদক রোস্তম আলী আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে অধ্যক্ষ ফৌজিয়া রাশিদীর’ই শুধু পদত্যাগ নয়, বিতর্কিত বর্তমান গভর্নিং বডির পদত্যাগ দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: জবাবন্দিতে যা বললেন গভর্নিং বডির সদস্যকে বিয়ে করা আইডিয়ালের ছাত্রী
তাঁরা বলেন, অধ্যক্ষ ফৌজিয়া ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে লটারী ছাড়াই বিভিন্ন শ্রেণিতে দুইশতাধিক শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করিয়ে কোটি কোটি টাকার ভর্তি বাণিজ্য করেছেন এবং এনটিআরসিএ’র অনুমোদন ছাড়াই ২০২৩ সালে ৫৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ক্যাচমেন্ট এলাকার নামে মতিঝিল ক্যাম্পাসে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র “এজিবি কলোনীর” জন্য ৪০% কোঠা নির্ধারণ করে অবৈধভাবে অন্যদেরকে বঞ্চিত করে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে ভর্তি বাণিজ্য করেছেন।
নেতৃদ্বয় এই অধ্যক্ষ ফৌজিয়া রাশিদীর আমলের সব অবৈধ কর্মকান্ড, অবৈধ ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্য তদন্ত করে শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত অধ্যক্ষের যাবতীয় দেনা-পাওনা পরিশোধ না করার জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ অক্টোবর অধ্যক্ষ ফৌজিয়া অবসর নেয়ার শেষ কার্যদিবস ছিল। তার ২২ দিন পূর্বেই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হলো।