০৫ অক্টোবর ২০২৩, ২১:০০

চবির সাবেক ছাত্র তরিকুলকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

শিক্ষক তরিকুল ইসলাম  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ব বিভাগের ১২-১৩ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী ও চুয়াডাঙ্গা জেলার নীলমণিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের প্রান্ত ওই স্কুলের মধ্যে মারপিট, ইভটিজিং, নেশাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলো। এসবের প্রতিবাদ করায় গত ৩০ আগস্ট সহকারী শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রান্ত ও তার সঙ্গীরা। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ০১ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, আসামীরা জামিনে বের হয়ে হয়ে নিজের পা নিজে ব্লেড বা ধারালো কিছু দিয়ে কেটে পেলেছে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে পা কাটার ঘটনায় ১নং আসামী করে ২৯ সেপ্টেম্বর দন্ডবিধির (৩০৭, ৩২৫, ৩২৬) ধারায় হয়রানি ও প্রতিহিংসামূলক পাল্টা মামলা করে।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্কুল শিক্ষক তরিকুল ইসলাম ওই এলাকার স্থানীয় না হওয়ায় তাকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। বিচার চাইতে গিয়ে বিচারপ্রার্থী উল্টো হয়রানির শিকার হয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অন্যদিকে প্রান্তর ‍সহযোগিরা নিয়মিত তরিকুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।

এলাকাবাসীরা জানান, হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চায় না। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলার অবসান হোক এবং শিক্ষক তরিকুল ইসলাম তার স্কুলে ফিরে যাক। এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

স্কুলশিক্ষক তরিকুল ইসলামের প্রাক্তন সহকর্মী শিক্ষক খালিদ হাসান জাহাঙ্গীর মিলন বলেন, স্কুলে গিয়ে শিক্ষককে হামলা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাজনক অধ্যায়। এই নৃশংস হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ‍দুটি পৃথক মারামারির ঘটনায় ‍দুটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সার্বিক বিষয় জানা যাবে।