২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:০২

বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত

  © প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার আজমপুর বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জাহেদ হোসেন রুমন (১৬) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী মারা যান। তার বাবার নাম মৃত নুরের জামান। এ সময় উভয় পক্ষের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দুই দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ উপলক্ষে আগামী ৫ অক্টোবর মীরসরাইয়ে একটি পথসভা করার কথা রয়েছে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান উপজেলার ৫ নম্বর ওচমানপুর ইউনিয়ন এলাকায় একটি সভার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এতে তাদের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান।

তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দাবি শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় ওচমানপুর ইউনিয়নের আজমপুর বাজারে বিএনপির লোকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ওচমানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসান, মিরাজ, জাহেদ হোসেন রুমন, আরেফিন ও রাফিসহ ৬ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

মীরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিনুল ইসলাম স্বপন জানান, আগামী ৫ অক্টোবরের কর্মসূচির প্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। অবশ্য স্বপন এও স্বীকার করেন পরক্ষণে বিএনপির ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরাও ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালায়।

অপরদিকে ওচমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা স্থানীয় আজমপুর বাজারে আমাদের ছাত্রলীগ নেতা হাসান ও তার কয়েকজন সহযোদ্ধার ওপর হামলা চালায়। এতে ৫ জন আহত হয়। এ সময় জাহেদ হোসেন রুমন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।

বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা ডাহা মিথ্যা। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

জোরারগঞ্জ থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাতে পারবো।