শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলে নির্বাচনী কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫২ AM , আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫২ AM
ভোলার চরফ্যাশনের আসলামপুর আবুগঞ্জ বাজার উত্তর আসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউপি সদস্য প্রার্থী নিহাদ কাজির নির্বাচনী কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সহকারী শিক্ষক ইউসুফ কাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের তালা খুলে দিয়ে ইউপি সদস্যের নির্বাচনী কার্যক্রম করার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উত্তর আসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হলরুমে সহকারী শিক্ষক ইউসুফ কাজী তার পছন্দের ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য প্রার্থীর প্রচারনার জন্য লোকজন নিয়ে সভা সেমিনার করেছেন। প্রধান শিক্ষককে তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো স্কুল ব্যবহার করে সভা-সেমিনারে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তিনি। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
এই ঘটনায় অন্যান্য প্রার্থীরা বলছেন, সরকারী স্কুলরুমে একজন মেম্বার প্রার্থীর কিভাবে মিটিং চলে। তার লাগাম টেনে ধরতে পারছেনা প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষকরাও। এই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ইউসুফ কাজীর খুটির জোড় কোথায়।
এলাকাবাসী ও অন্যান্য শিক্ষকদের ক্ষোভ তার কথা মত চলে স্কুলের কার্যক্রম। অভিভাকরা বলেন, আগে জানতাম সরকারী স্কুলের শিক্ষকরা রাজনীতি করতে পারতো না। এই ইউসুফ কাজী কাউকে তোয়াক্কা না করে স্কুল ফাকি দিয়ে রাজনীতির মাঠে প্রচারনা করছেন। একচিল্লা জামাতের কথা বলে মাসের পর মাস স্কুল ফাঁকি দিচ্ছে। কিন্তু নিয়মিত স্বাক্ষর কিভাবে হলো জানে না সহকারী শিক্ষকরা। কেউ তার খোঁজ-খবর রাখছেনা , লাগাম টেনেও ধরছে না। যার ফলে অনিয়ম তার নিয়মে পরিণত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক শিক্ষক বলেন, ইউসুফ কাজী সহকারী শিক্ষক হয়ে স্কুলে এসে প্রধানের ভাব দেখান। কাউকে তোয়াক্কা না করে গালমন্দ করেন। রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে কাজ করছেন। এছাড়া তিনি স্কুলে চাকুরী অবস্থায় আসলামপুরে কাজীর দায়িত্ব পালন কালে বাল্যবিবাহ স্বর্গে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন।
এই ঘটনায় জড়িত নন বলে জানান সহকারী শিক্ষক ইউসুফ কাজী।
এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি চাপের মুখে আছি। তাদের বাড়ির কাছে প্রতিষ্ঠান। তবে স্কুলে রাজনৈতিক কোন সভা সেমিনার করা যাবে না। স্কুলের রুমে মিটিং এর বিষয় আমি জানিই না।
উত্তর আসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্বাস উদ্দিন বলেন, একটা সরকারী স্কুলে একজন মেম্বার প্রার্থীর সভা সেমিনার করতে পারেনা। আমি অনুমতি দেয়নি। কে অনুমতি দিয়েছে ক্ষতিয়ে দেখি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিদুল ইসলাম বলেন, স্কুল রুমে মেম্বার প্রার্থীর মিটিং করছে এমন সংবাদ পেলে যে শিক্ষক অনুমতি দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।