০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:১২

পরীক্ষার হলে ‘কড়া গার্ড’ দেওয়ায় শিক্ষকের ওপর হামলা

টাঙ্গাইল জেলা মানচিত্র  © ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ‘কড়া গার্ড’ দেওয়ায় এক শিক্ষিকার উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশের সামনেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা। এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মির্জাপুর সরকারি এসকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতে অপ্রীতিকর এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম নাহিদ আফসার।

জানা যায়, আজ এইচএসসি পরীক্ষার মার্কেটিং বিষয়ে পরীক্ষা ছিল। যথা নিয়মে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা জানায় পরীক্ষা কেন্দ্রের এক হলে নাহিদা আফসার নামে এক শিক্ষিকা ‘কড়া গার্ড’ দেন। ওই হলের অনেক শিক্ষার্থী ঠিকমত লিখতে পারেনি। পরে এক শিক্ষার্থী পরীক্ষার হল থেকে বাইরে এসে বিষয়টি তার অভিভাবকে জানায়। পরীক্ষার হল থেকে খাতাপত্র গুছিয়ে অফিসে জমা দিয়ে বের হন। এসময় ওই শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবক শিক্ষিকার পথ রোধ করে পরীক্ষার হলে কড়া গার্ড দেওয়ার বিষয়ে জানতে চায়। মুহুর্তেই ওই অভিভাব শিক্ষিকার উপর হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পলিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক উপজেলার কদিমধল্যা ড. আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার ছিল মার্কেটিং পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত পরীক্ষার হলে ডিউটি শেষ করি। পরীক্ষা শেষে খাতা জমা দিয়ে অফিস কক্ষ থেকে বের হতেই মাস্ক পড়া একজন ছাত্র এবং ওই ছাত্রের সঙ্গে আসা এক ব্যক্তি আমার পথ রোধ করেন। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এত কড়া গার্ড দিলে ছেলেরা পাস করবে কিভাবে। নাম পরিচয় জেনে গার্ড দেওয়া উচিৎ। তখন আমি বলি, ভাই কথাটা বুঝলাম না। আসেন অফিসে বসে কথা বলি। একথা বলা মাত্রই অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি আমার ওপর হামলা করে দ্রুত চলে যান। এ সময় একজন পুলিশ সদস্যও কাছাকাছি উপস্থিত ছিলেন।’

খবর পেয়ে কেন্দ্র সচিব ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ মন্দিরা চৌধুরী ঘটনাস্থলে আসেন এবং তিনি বিষয়টি জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিনকে অবহিত করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন জানান, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। যেহেতু ঘটনার সময় পুলিশের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেজন্য মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি তদন্ত করছেন।