০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪১

ফেসবুকে আত্মহত্যার পোস্ট, পুলিশ গিয়ে দেখে আড্ডা দিচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থী

ফেসবুক থেকে সুইসাইড নোট  © সংগৃহীত

ফেসবুকে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যার মিথ্যে হুমকি দিয়েছেন ফেরদৌস নাঈম নামে এক যুবক। ফেরদৌস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সুইসাইড নোটটি ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের মোবাইল টিম ওই যুবককে উদ্ধার করতে বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে যুবক মিথ্যা পোস্ট দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ৩৭ মিনিটে ফেরদৌস নাঈম তার ফেসবুক থেকে জেলা পরিষদের প্যাডে একটি সুইসাইড নোট ভাইরাল হয়। ফেসবুকে সুইসাইড নোট লেখা ফেরদৌস নাঈম রাজবাড়ীর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের ভবানিপুর এলাকার মৃত গোলাম ফয়েজের সন্তান। ঘটনাটি ঘটেছে সেখানেই। 

ভাইরাল হওয়া সুইসাইড নোটে লেখা ছিল ‘আমি ফেরদৌস নাঈম, ৮৭১২৬১০.., ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি নং ২০১৯০১৫৮..। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমার ব্যক্তিগত প্রেমের সম্পর্কের ঝামেলা/সংকট মোকাবিলায় আপনারা স্ব-প্রণোদিত হয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং একইসঙ্গে ক্ষমাপ্রার্থী। কারণ আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আপনদের অপমানিত ও লজ্জিত হতে হয়েছে। 

আমার বিধবা মা কে যেই মেয়ে (অশ্লীল ভাষা) বলে গালাগাল করেছে এবং আমার আম্মুর সম্মানহানি হয় এমন কথা বলেছে সেই মেয়ের বিচার আপনারা না করলেও আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু মৃত বেলাল ফয়েজের সন্তান হিসেবে এই বিচার আমি করব। আমার মৃত্যু হলে কবরটা যেন আমার বাবার কবরেই হয় এই শেষ অনুরোধ।'

এর নিচে বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে আবার লেখা ছিল, 'এক সেট ব্লেড যেটা দিয়ে সবেমাত্র হাত কাটছি। আরেক সেট আমার বাসায় লুকানো আছে।'

এই পোস্টটি ভাইরাল হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে তিনি সুস্থ আছেন এবং আত্মহত্যার মিথ্যা হুমকি দিয়েছিলেন। 

ফেরদৌস নাঈমের মা রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সহকারী লাইব্রেরিয়ান হুসনে নাহিদ বলেন, ‘আমার ছেলের বর্তমান কর্মকাণ্ডে আমি খুবই বিব্রত। ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওর কাছ থেকে এই ধরনের ছেলে মানুষী কাজ আশা করিনি।’

রাজবাড়ী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. রেজাউল করিম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সুইসাইড নোটটি আমার নজরে এলে আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের মোবাইল টিম ছেলেটির বাড়িতে পাঠাই। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় ছেলেটি দিব্যি সুস্থ। সে তার মা ও আত্মীয়দের সঙ্গে বসে গল্প করছিল।