২১ আগস্ট ২০২৩, ০৯:১৭

ইবি ছাত্রী নওরিনের মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে হত্যা মামলা

ইবি ছাত্রী নওরিন নুসরাত স্নিগ্ধা  © ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী নওরিন নুসরাত স্নিগ্ধার মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। রোববার (২০ আগস্ট) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নওরিনের বাবা খন্দকার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে মামলার আরজি দাখিল করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলাম তার জবানবন্দি নেন।

আদালত এ মৃত্যুর ঘটনায় আশুলিয়া থানায় করা অপমৃত্যুর মামলা এবং নওরিনের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দাখিল করার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবীর বাবুল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে নওরিনের স্বামী চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার কলাকান্দা গ্রামের ছেলে ইব্রাহিম খলিল ও শাশুড়িকে।

নওরিন ইবির আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তার বাবা টাঙ্গাইল সদরের ইসলামবাগ বাগমারা গ্রামের খন্দকার নজরুল ইসলাম। মামলার আরজিতে বলেছেন, নওরিন স্নাতকোত্তর করার আগেই গত ২১ জুলাই ইব্রাহিমের সঙ্গে বিয়ে হয়। তারা আশুলিয়ার পলাশবাড়ী নামাবাজার আব্দুর রহিমের ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নওরিন স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে চাইলে তাঁর স্বামী ও শ্বাশুড়ি লেখাপড়া করাতে চান না। বিয়ের পর থেকেই লেখাপড়া না করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। গত ৩ আগস্ট এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর কথা-কাটাকাটি হয়। তখন স্বামী তালাক দেওয়ার হুমকি দেন। পরে নওরিন বাবার বাড়িতে যেতে চান। কিন্তু তাঁকে আটকে রাখার বিষয়টি ফোনে বাবাকে জানালে তিনি ইব্রাহিমকে ফোন করেন। কিন্তু ইব্রাহিম জানান, নওরিনকে যেতে দেওয়া হবে না। 

৮ আগস্ট নওরিনকে বাসায় আটকে রেখে স্বামী বের হন। তার ফোন কেড়ে নেন। বাদী ইব্রাহিমকে ফোন করলে তিনি জানান, বাসায় ঢোকা যাবে না। পরে তিনি মেয়েকে দেখার জন্য আশুলিয়ায় আসেন। বিকেলে ইব্রাহিম জানান, তাঁর মেয়ে ছয়তলা থেকে লাফ দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিকেলে হাসপাতালে পৌঁছে তাঁর মেয়ের লাশ পান।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মেয়েকে হত্যা করে আলামত নষ্টের উদ্দেশ্যে আত্মহত্যার ঘটনা সাজিয়েছেন ইব্রাহিম। ছয়তলা থেকে লাফ দিলে যেভাবে আহত হওয়ার কথা, তমেন আঘাত নওরিনের শরীরে ছিল না। পরে তিনি হত্যার অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে মামলা না নিয়ে অপমৃত্যুর মামলা করার জন্য বাদীকে বাধ্য করে টিপসই নেয় বলে অভিযোগ করেছেন বাদী।