১৮ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৪১

বান্ধবীর বাসায় নিয়ে স্ত্রীকে মারধর ছাত্রলীগ নেতার, থানায় জিডি  

মো. তরিকুল ইসলাম রাহুল  © সংগৃহীত

রাজধানীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. তরিকুল ইসলাম রাহুল নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বান্ধবীর বাসায় নিয়ে সবার সামনে স্ত্রীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সোমবার (১৪ আগস্ট) এমন অভিযোগ জানিয়ে রাজধানীর ভাটার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী।  

জিডির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভাটার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহরিয়ার জালাল। আর অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সরকারি বাঙলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্র।

জিডিতে ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ২০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ওই নারীকে বিয়ে করেন তরিকুল। তবে কোনো ধরনের উপার্জন না থাকায় তাদের সংসারে বিবাদ লেগেই থাকতো। এদিকে বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নানা ধরনের চাপ দিতে থাকেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। কয়েকদিন আগে দাওয়াতে নেওয়ার কথা বলে সেতু নামে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে নিয়ে স্ত্রীকে সবার সামনেই মারধর করেন তরিকুল। 

এসময় ওই বান্ধবীও তার স্ত্রীকে মারধর করেন। পরে স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। গত তিন মাস ধরে তিনি স্ত্রীর কোনো খোঁজ নেন না। অন্য মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়ে কল করলে স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন তরিকুল—উল্লেখ করা হয়েছে থানার সাধারণ ডায়েরিতে।

ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, জিডিতে মো. তরিকুল ইসলাম রাহুলের বিরুদ্ধে করা তার সব অভিযোগ সত্য।  

এ নিয়ে জানতে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম রাহুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্ত কর্মকর্তা ভাটার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহরিয়ার জালাল জানিয়েছেন, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে থানায় একটি জিডি রেকর্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, অভিযুক্ত তরিকুল ইসলামকে নারী কেলেঙ্কারির কারণে ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি তাকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। তবে বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া না হলেও তিনি মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পান।

এর আগে তার নামে ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ রাজধানীর দারুস সালাম থানায় হত্যাচেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে বাঙলা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে গাছ কাটা, চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আছে।