প্রশ্নফাঁসে বুয়েট অধ্যাপক নিখিলসহ ১৬ জনের বিচার শুরু
রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করিম চৌধুরী এ মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এর আগে গত ২০ মার্চ অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধর আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করেন আদালত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রাথমিক পরীক্ষা হয়। ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে এ পরীক্ষায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নেন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তে নামে।
পরে ডিবির উপ-পরিদর্শক সুকান্ত বিশ্বাস বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে গত বছরের নভেম্বর মাসে ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় ডিবি পুলিশ। তবে মামলার অভিযোগপত্র থেকে বুয়েটের অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরের নাম কেন এবং কীভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে গত ২৫ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাতে বলেন আদালত।
এরপর গত ২৯ জানুয়ারি বুয়েটের অধ্যাপক নিখিল রঞ্জনসহ ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম ওরফে স্বপন, জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা শামসুল হক ওরফে শ্যামল ও আবদুল্লাহ আল জাবের, আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান ওরফে রয়েল, পিয়ন দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাশেদ আহমেদ ওরফে বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ, রবিউল ইসলাম ওরফে রবি এবং রূপালী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানে আলম ওরফে মিলন।