বেরোবিতে নৈশ প্রহরীকে বেঁধে মূল্যবান সামগ্রী চুরি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রহরীকে বেঁধে রেখে প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে স্থানীয় কিছু বখাটে। গত ৩ জুলাই রাতে রেরোবির ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নৈশ প্রহরী মো. হোসেনকে (৭৩) স্থানীয় বখাটেরা নির্যাতন করে গাছে বেঁধে রাখে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এরপর তাঁরা প্রকল্প এলাকার বৈদ্যুতিক তার, কম্পিউটার, কার্ট পিচ রড, টিভি, লোহার বোর্ড, বৈদ্যুতিক তিনটি মোটরসহ প্রকল্পে থাকা আনুষাঙ্গিক জিনিস পত্র নিয়ে যায়। এসব সামগ্রীর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রহরী রংপুর মহানগরের তাজহাট থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ পত্রে হোসেন উল্লেখ করেছেন, স্থানীয় মো. রিপন মিয়া, মো. ফরিদ ও মো. কালু মিয়াসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জন একাধিক দিন নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের আশেপাশে ঘোরাফেরা এবং তাকে দেখে বাজে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করতেন। তিনি বাধা দিলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি-ধমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রকল্পের জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখে ডিউটি পালন করছিলেন।
এ সময় চুরির উদ্দ্যেশ্যে অভিযুক্তরা প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করলে তিনি দেখে চিৎকার করেন। তখন তারা প্রকল্প এলাকার ভেতরে থাকা বৈদ্যুতিক তার ও দড়ি দিয়ে বেঁধে মারপিট করে হুমকি-ধমকি দেয়।
আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা প্রায় ৯ হাজার টাকা দামের একটি বৈদ্যুতিক দুই হর্স পাওয়ারের পানি সেচের মোটর ও প্রায় ৩৫ হাজার টাকার ৬০০ মিটার তারসহ অন্যান সামগ্রীসহ ৩ লাখ টাকার মালামাল প্রকল্প এলাকা থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে। এর আগেও তিনি ও তার সহকর্মীরা অভিযুকত্তদের চুরি করতে দেখে ধরার চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা বিবাদীদের ধরার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। তাদের ধরার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
তাজহাট থানার ওসি বলেন, আমরা অভিযুক্তদের ধরতে এলাকায় দু’তিনবার অভিযান চালিয়েছি। তবে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের ধরতে পারলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।