০৫ জুলাই ২০২৩, ১২:৫৮

৬ মাসে দেড় হাজার নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার

  © প্রতীকী ছবি

দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের চিত্র দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গত ৬ মাসে দেড় হাজারের বেশি নারী ও শিশু শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের ভয়াবহতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ সকল অপরাধের আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। এ ছাড়া অনেক ঘটনাই অপ্রকাশিত থাকে। ফলে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সাম্প্রতিক বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও শিশু নির্যাতনের উপর একটি জরিপ চালিয়েছে। সেই জরিপের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যান বলছে, গত ৬ মাসে শারীরিক-মানসিকসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৫২০ নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ২২৩ জন কন্যাশিশুসহ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩২৬ জন। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬০ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২১ কন্যাশিশুকে।

আরও পড়ুন: বিয়ের দাওয়াতে ‘কাঁচা মরিচ না দেওয়ায়’ উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

শুধু সদ্যসমাপ্ত জুনে ২৬৫ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৩ জন কন্যাসহ ৫৩ জন। ৫ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

নারী ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলায় ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমার আইন থাকলেও তা মানা হয় না। এমনকি অনেক পাবলিক প্রসিকিউটরও উদাসীন দেখান। থানা পুলিশ এবং বিচার প্রক্রিয়ায় ভুক্তভোগীকেই নানানভাবে দোষারোপ করা হয়। ফলে ভুক্তভোগীর পরিবারের চাপেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়।

২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪৮ হাজার ৭৯২ জন নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯ হাজার ৮৫০ জন।