ছাত্রী অপহরণ মামলায় আইডিয়ালের সেই দাতা সদস্যের আগাম জামিন
রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করা আলোচিত দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ওই ছাত্রীর বাবার করা অপহরণ মামলায় বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ দিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন পলাশ। তিনি বলেন, ওই ছাত্রী বিয়ে করেছেন বলে আমাকে মুশতাক আহমেদ কাবিন দেখিয়েছেন। এর মধ্যে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে বলে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই শিক্ষার্থীর বাবা ঠাকুরগাঁওয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। কারণ মেয়ের বাবা ঠাকুরগাঁও থাকেন। সেই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করার পর মোশতাককে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন আদালত।
আরও পড়ুন: আইডিয়ালের পরিচালনা কমিটির ষাটোর্ধ্ব সদস্যকে তালাক আলোচিত সেই ছাত্রীর
এদিকে এই দাতা সদস্যের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিচার ও গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে গত ৩১ মে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরাম।বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি এবং দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদসহ পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান দাতা সদস্য ষাটোর্ধ্ব খন্দকার মুশতাক আহমেদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে গত দুই বছর যাবৎ অবৈধ মেলামেশা ও সম্পর্ক স্থাপন করায় নৈতিক ও চারিত্রিক স্খলন ঘটেছে। এক পর্যায়ে অভিভাবকদের চাপে সম্প্রতি তৃতীয় বিয়ে করতে খন্দকার মোস্তাক বাধ্য হয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
অন্যদিকে, যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।