কানের যন্ত্রণা সহ্য করতে পারেনি ছাত্রী, মিলল ঝুলন্ত দেহ
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ঘরের সিলিং ফ্যানে সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় এক স্কুলছাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরিয়াম আক্তার (১৭) নামে ওই ছাত্রী পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট মাছুয়া গ্রামের মো. মনিরুল ইসলামের মেয়ে।
পরিবারের দাবি, কানের যন্ত্রণা সইতে না পেরে মরিয়াম আত্মহত্যা করে। সে স্থানীয় শিরীণ হক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পরিবারের দাবি, কানের যন্ত্রণা সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে জানাজা শেষে আট্টাকী সরকারি গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে তাকে।
পুলিশ জানায়, ভাড়া বাড়িতে মরিয়ামকে রাত ১১টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পান পরিবারের সদস্যরা। তাৎক্ষণিক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মরিয়াম শ্রবণ প্রতিবন্ধী ও দীর্ঘদিন মানসিক রোগে ভুগছিল। সে প্রায়ই কানের যন্ত্রণায় ছটফট করতো। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সে।
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি মু. আলীমুজ্জামান বলেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।