০৪ জুন ২০২৩, ০৯:১৭

দলবল নিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, গুলি ছাত্রলীগ নেতার

হামলার সময় একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়  © সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে ইন্টারনেট ব্যবসা দখলে নিতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার (৩ জুন) রাতে শহরের মাসদাইর এলাকায় পরপর দু’দফা হামলায় ব্যবসায়ীসহ পরিবারের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

অভিযুক্ত আশরাফুল ইসমাইল রাফেল প্রধান জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। রাফেল ও তার ভাই রাসেল প্রধান অনুসারীদের নিয়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। আহতরা হলেন- মাসদাইর এলাকার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ইফাদুর রহমান তুষার (৩২), বড়বোন শান্তা রহমান বৈশাখী (৩৬), মামা মতিন আহমেদ (৭০) ও কামাল আহমেদ (৬০)।

তুষারকে খানপুরের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিরা চাষাঢ়ার বেসরকারি মেডিহোপ ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। শান্তা রহমান জানান, মাসদাইর এলাকায় তুষারের 'রান অনলাইন' নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। তিনি আশপাশের এলাকার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। একই এলাকায় রাফেল ও তার ভাই রাসেলের ইন্টারনেটের ব্যবসা আছে। তারা তুষারের ব্যবসা দখল করতে চান।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাফেলের লোকজন তুষারের ইন্টারনেট লাইন কেটে দেয়। শনিবার রাতে রাফেল ও তার ভাই রাসেলের নেতৃত্বে অর্ধশত সশস্ত্র সন্ত্রাসী পিস্তল, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। ভাইকে রাস্তায় ফেলে পেটায়। আবারও তারা এসে বাড়ির সামনে গুলি করে, বোমা ফাটায়। ঢিল ছুঁড়ে জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলে। ভাড়াটিয়ার মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে। বাধা দিলে তাকে ও দুই মামাকে মারধর করে। বড় মামার দিকে পিস্তল তাক করে গুলির হুমকি দেয়।

স্থানীয় দুই প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, তারা অন্তত ৩ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন। দু’বার ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছেন। তিনি নিজেও ককটেলের মতো কিছু বিস্ফোরণের শব্দ দু’বার শুনেছেন।

হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসমাইল রাফেল। তবে সাংবাদিকদের কাছে আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেছেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের আলামত এখনও পাইনি। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।