ভিসির স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় কারাগারে জবি শিক্ষার্থী সজিব
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ও সিল নকল করার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় সজিব আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২৭ মে) একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) হাসান মাতুব্বর। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আশ্রাফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ওই শিক্ষার্থীর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সজিব আহমেদ। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে গত ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর বিভাগীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ইসলামিক স্টাডিজ থেকে অন্য সাধারণ বিষয়ে মাইগ্রেশনের জন্য একটি আবেদন বিশ্ববিদ্যালয় আইটি অফিসে জমা দেন।
এ বিষয়টি পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল কোতয়ালী থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সজিব আহমেদকে হেফাজতে নেয় এবং তার কাছ থেকে নকল সিল ও স্বাক্ষর সম্বলিত ২ পাতা ও অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে সজিবের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত কাগজপত্র, মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য সকল কাগজ খোজ করে পাওয়া যায়নি বলে জানান কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.রইছ উদ্দীন।
তিনি বলেন, সাক্ষর জালিয়াতির ঘটনার সূত্রধরে ওই শিক্ষার্থীর ভর্তির কাগজপত্র খোজ করা হয়। কিন্তু ভর্তির সময় যেসকল কাগজপত্র জমা থাকার কথা তা পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আরও গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।