মোটরসাইকেল জব্দ করায় পুলিশকে বেধড়ক পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
সড়কে ছাত্রলীগ নেতার মোটরসাইকেল থামিয়ে লাইসেন্স ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখতে চান হাইওয়ে পুলিশ। কোনা কাগজপত্র দেখাতে না পারলে মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সেই হাইওয়ে পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেন ছাত্রলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী দাশুরিয়ার মুনশিদপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা ও তার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মজিদপুর হাটপাড়া গ্রামের মতিউর রহমান মিন্টুর ছেলে আশিকুর রহমান আকাশ (২৪) এবং একই এলাকার সৌরভ আলীর ছেলে হাসিব আলী (২৯)।
আশিকুর রহমান আকাশ মালিগাছা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং পাবনা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক। হাসিব আলী ছাত্রলীগ কর্মী ও আকাশের বন্ধু।
শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে বিষয়টি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য দেন ঈশ্বরদীর পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার স্যান্যাল।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে পাবনার সদর উপজেলার টেবুনিয়া বাজারের পাশে চেকপোস্ট বসানো হয়। হেলমেটবিহীন অবস্থায় উল্টোপথে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন আকাশ ও হাসিব। এসময় হাইওয়ে পুলিশ তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মোটরসাইকেলটি জব্দ করে কনেস্টেবল সাধন চন্দ্রের মাধ্যম পাকশী হাইওয়ে থানায় পাঠানো হয়। পথে মুনশিদপুরে সাধন চন্দ্রকে আরেকটি মোটরসাইকেল নিয়ে গতিরোধ করেন আকাশ ও হাসিব। এসময় সাধন চন্দ্রকে বেধড়ক মারধর করে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে চেকপোস্টের পুলিশ সাধন চন্দ্রকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত আকাশ ও হাসিবকে দুটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, গুরুতর আহত সাধন চন্দ্রকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানালেন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মীর রাফিউল ইসলাম সীমান্ত।
তারা বলেন, অবশ্যই আকাশের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি কেউ সংগঠনের ক্ষতি করে ও ভাবমুর্তি নষ্ট করার মতো কাজ করে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।