ছাত্রীর মামলায় গ্রেপ্তার হলেন প্রধান শিক্ষক
নরসিংদীর বেলাবোতে ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে অশালীন আচরণ ও শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নরসিংদী মডেল থানায় মামলাটি করেন। পরে বুধবার (১৭ মে) প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
মুক্তার হোসেন আমলাব নারায়ণপুর মরজাল (এএনএম) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। একটি অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা- সমালোচনার ঝড় উঠে। এতে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৬ মে) মুক্তার হোসেনের বিচার ও স্কুল থেকে বহিস্কারের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেন সাবেক ছাত্রীর মোবাইল ফোনে কল করে তার বাসায় খাওয়ার দাওয়াত দেন। দুপুরে ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের বাসায় গিয়ে দেখেন বাসাটিতে আর কেউ নেই। এ সময় প্রধান শিক্ষক অশালীন আচরণসহ শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এবং অসংগতিপূর্ণ ইঙ্গিত প্রদান করেন। এসব কথোপকথন ছাত্রী তার ফোনে রেকর্ড করেন। কৌশলে বাসা থেকে বের হয়ে আসার পর এই অডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
অডিও রেকড ফাঁস হওয়ার পর মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ ও ইউএনও সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়। ঘটনার পর প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অডিওটির ঘটনাস্থল নরসিংদী শহর হওয়ায় শিক্ষককে রাতে নরসিংদী মডেল থানায় পাঠায় বেলাবো থানা পুলিশ।
এরপর ছাত্রী মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার প্রধান শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। নরসিংদী মডেল থানার ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া জানান, ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।