মুক্তি রাণী হত্যা: দ্রুত বিচার আইনে মামলার দাবি ৬৬ সংগঠনের
নেত্রকোনার বারহাট্টার স্কুলছাত্রী মুক্তি রাণী বর্মণ হত্যায় আসামির বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা নেওয়া ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ৬৬টি সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকালে ৬৬টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি’র প্রতিনিধিরা বারহাট্টা থানার ওসি খোকন কুমার সাহা ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
এতে মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া, হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, মুক্তি বর্মণের পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদানসহ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হারুন অর রশিদ স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস প্রদান করেছেন।
এদিন কমিটির প্রতিনিধিরা বারহাট্টার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের মুক্তি বর্মণের বাড়িতে যান। পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও দেন তারা।মানাবধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী নাহিদা খানম, ফারিয়া মীম, মহিলা পরিষদের শামীমা আফরোজ আইরীন, জনা গোস্বামী, তাহেজা বেগম, অ্যাকশন এইডের নুরুন নাহার, ব্লাস্টের আবুল কাশেম মুসা, আইইডির শ্যামলেন্দু পাল, নারী প্রগতি সংঘের মৃণাল চক্রবর্তী এবং সুরজিত ভৌমিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল( মঙ্গলবার) নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাউসি ইউনিয়নের প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মনের মেয়ে মুক্তি রানী বর্মনকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা করে ওই এলাকার শামছু মিয়ার ছেলে কাওসার। দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যান হয়ে বখাটে প্রেম নগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক করে অভিযুক্ত কাউছারকে। পরে এ ঘটনায় মুক্তির বাবা বাদী হয়ে কাওসারকে একমাত্র আসামি করে বারহাট্টা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর কাওসার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।