চাকরি ফাঁদে ছাত্রকে আটকে মুক্তিপণ দাবি, আটক ৩
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ফেসবুকের পরিচয়ে কলেজ ছাত্রকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ডেকে এনে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৯ মে) উপজেলার জিয়াপুর গ্রামের সন্ন্যাসতলী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনগণ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হলেন, ক্ষেতলাল পৌর এলাকার মালিপাড়া মহল্লার রেজাউলের ছেলে একরাম (৩৫), উপজেলার মামুদপুর সরদারপাড়া গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে রানা (২৫) ও ধনতলা গ্রামের তোজাম আকন্দের ছেলে পলাশ হোসেন (২৬)।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ক্ষেতলাল পৌর এলাকার মালিপাড়া মহল্লার রেজাউলে ছেলে একরামের (৩৭) সঙ্গে কিছুদিন আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রেশমবাড়ী গ্রামে সাইফুল ইসলামের ছেলে কলেজছাত্র আমির হোসেনের (২২)। আমির হোসেনকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের বেসামরিক চাকরি দেয়ার লোভে ডেকে আনেন একরাম ও চার সহযোগী।
ওই ছাত্রকে কৌশলে সিরাজগঞ্জ থেকে জয়পুরহাটের নতুন হাটে নিয়ে আসেন তারা। সেখান থেকে অটোভ্যান যোগে বিভিন্ন এলকায় ঘুরে বিকেল ৪টায় ক্ষেতলাল উপজেলার সন্ন্যাসতলী এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে জিম্মি করে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার পরিবারে কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ওই চক্রকে ৫১ হাজার টাকা দেয়া হয়।
চক্রের সদস্যরা টাকা পাওয়ার পরে আমির হোসেনকে এক স্থানে থেকে অন্য স্থানে ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি দেখে ভ্যান থেকে লাফিয়ে পরে ঘটনাটি জানায় কলেজছাত্র আমির। চক্রের সদস্যরা ভ্যান থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ওই চক্রের ৩ জনকে আটক করে বাকি ২ জন পালিয়ে যান।
ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে এক ব্যক্তিকে ডেকে এনে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ওই তিনজনকে আটক করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে তাঁদের পরিষদে আনা হয়। পরে পুলিশ এসে তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিবুল ইসলাম বলেন, চাকরির কথা বলে ডেকে এনে জিম্মি করে টাকা আদায়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।