বাসায় ঢুকে কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, আহত মা আইসিইউতে
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গাজীপুরে বাসায় ঢুকে কলেজছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ সময় বাধা দেয়ায় মা ও বোনসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক মাদরাসা শিক্ষক।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম রাবেয়া আক্তার (২১)। সে গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকার আবদুর রউফের মেয়ে। তিনি ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ঘটনার সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন রাবেয়ার মা ইনসুরেত নেছা (৫০), বোন হাবিবা (১৮), খাদিজা (১৫) ও জান্নাত (১৩)।
জানা গেছে, কলেজছাত্রী রাবেয়ার ছোট বোনকে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে পরিচয় শিক্ষকের সাথে। গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন সময় রাবেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন মাদরাসা শিক্ষক সাইদুল ইসলাম। কিন্তু রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন তিনি।
এর জেরে সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যায় গাজীপুর নগরীর সালনায় বাসায় ঢুকে রাবেয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন তিনি। পরিবারের অন্যরা এগিয়ে এলে তাদেরও আঘাত করা হয়। গুরুতর অবস্থায় রাবেয়াকে স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত্য ঘোষণা করেন রাবেয়াকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিহতের মাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে।
রাবেয়াদের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘গত সোমবার রাতে হঠাৎ চিৎকার শুনে তাঁদের ঘরের দিকে গেলে দেখতে পাই শিক্ষক সাইদুল দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। পরে রাবেয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
গাজীপুর সদর থানার ওসি জিয়াউল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তাক্ত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামি সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।