০৯ মে ২০২৩, ২১:০৮

শিক্ষার্থীদের মারধর করে স্কুল ভবন দখল করলেন শিক্ষকরা!

  © টিডিসি ফটো

পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর করে ভবন দখল করে নিয়েছে কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এর ফলে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী আজ পাঠদান থেকে বঞ্ছিত হয়েছেন। 

জানা গেছে, একই ক্যাম্পাসে ধুলিয়া কলেজিয়েট স্কুল ও ধুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ধুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় কলেজিয়েট স্কুলের গভর্নিংবডির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের জায়গায় একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য রেজুলেশন করে অনুমতি দেয়া হয়। সে অনুযায়ী সরকারি অর্থায়নে ৪-৫ মাস আগে সেখানে একটি তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে ওই নূতন ভবনে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে আসছিল। 

মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের আসার আগ মুহূর্তে কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে অবস্থান নেন। এরপর অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকরা এসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। ফলে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করতে না পেরে ভবনের নিচ তলায় খোলা জায়গায় অবস্থান করেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, তাদের কয়েকজন কোমলমতি শিক্ষাথীদের মারধর করে শ্রেণী কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এবং শিক্ষকদের সাথেও উচ্চবাচ্য করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে ধূলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাছুমা আক্তার বলেন, কলেজিয়েট স্কুলের কর্তৃপক্ষ রেজুলেশন করে তাদের জায়গায় আমাদের স্কুল করার অনুমতি দিয়েছেন। আজ বিনা অজুহাতে তারা আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মারধর করে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দিয়ে বিদ্যালয়ের মূল ফটতে তালা মেরে ভবনটি দখল করে নিয়েছেন।

তবে কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম বলেন, সমঝোতার মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। আমাদের প্রয়োজন হলে তারা তাদের ভবন ব্যবহার করতে দেবেন। আমাদের ৫-৬শ শিক্ষার্থী রয়েছে। জায়গার সংকুলন না হওয়ায় পাঠদানের জন্য আমরা তাদের ভবনটি ব্যবহার করেছি, দখল করিনি। তাদের আরও দুটো ভবন আছে। তাদের জায়গার সংকট নেই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার  আতিকুল ইসলাম বলেন,খবর পেয়ে আমি আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।