ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগে রাজধানী থেকে একজন আটক

আব্দুর রউফ প্রীতম
আব্দুর রউফ প্রীতম  © সংগৃহীত

অনলাইন জুয়া ও ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি করার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আব্দুর রউফ প্রীতম (২১) নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে রাজধানীর বালুঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করে এনএসআই সাইবার ইন্টেলিজেন্সের একটি টিম। আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

অভিযুক্ত প্রীতম নওগাঁর বদলগাছি থানার ব্যাশপুর গ্রামের মো. হারুনুর রশীদের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর বালুঘাট এলাকায় বসবাস করত।

এনএসআই জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রীতম ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা চলাকালে ভুয়া প্রশ্নপত্র এডিটিংয়ের মাধ্যমে মূল প্রশ্নপত্রের মতো তৈরি করে প্রতারণা করে আসছিল। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনএসআই।

আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রীতম প্রতারণার জন্য প্রথমে একাধিক ফেসবুক আইডি ও গ্রুপ খুলে চলমান পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে উল্লেখ করে পোস্ট করতেন। শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে তার পোস্টে মূল প্রশ্নপত্রের মতো করে এডিট করা প্রশ্নপত্র সংযুক্ত করে প্রচারণা চালাত। পরে শিক্ষার্থীরা ইনবক্সে যোগাযোগ করলে প্রশ্নপত্রের জন্য বিকাশ বা নগদে অর্ধেক টাকা (১০০০/২০০০) দাবি করতেন। আর বাকি টাকা প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর দিতে হবে বলে উল্লেখ করা হতো। অর্ধেক টাকা নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ব্লক করে দেওয়া হতো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতারণার জন্য বিভিন্ন টেম্পোরারি ই-মেইল অ্যাড্রেসের মাধ্যমে নতুন নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেগুলো ব্যবহার করত সে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাকিং নিরোধক বিভিন্ন ভিপিএন ব্যবহার করে আসছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

এছাড়াও ডিজিটাল ফরেনসিকে প্রীতমের মোবাইলে বিভিন্ন অনলাইন জুয়া ও বেটিং অ্যাপস পাওয়া যায়। প্রতারণার মাধ্যমে উপার্জিত টাকা বিভিন্ন অনলাইন বেটিং (জুয়া) সাইটে নিয়মিত ইনভেস্ট করার প্রমাণ পাওয়া যায়। অনলাইন জুয়া কার্যক্রমে তার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তার বিকাশ ও নগদে মাসিক লেনদেনের পরিমাণ ১ লাখ টাকারও বেশি। 


সর্বশেষ সংবাদ