ধর্ষণের পর শিক্ষিকাকে হোটেলে নিয়ে রাতযাপনের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে
রাজশাহীর একটি কলেজের অধ্যক্ষ মারুফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষিকা বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। তাকে হোটেলে নিয়ে রাতযাপনেরও অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কলেজের ভুক্তভোগী শিক্ষিকার নিকটাত্মীয় কলেজের অধ্যক্ষ মারুফ হোসেন। সে সুবাদে অধ্যক্ষ শিক্ষিকার বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিক্ষিকাকে মারুফ হোসেন জোর করে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি প্রকাশ করলে তার চাকরি থাকবে না বলে ভয়ভীতি দেখান।
এ ঘটনার পর বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ও চাকরি হারানোর ভয় দেখিয়ে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত অধ্যক্ষ কলেজের বিভিন্ন কাজের বাহানা দিয়ে ও প্রোগ্রামের কথা বলে শিক্ষিকাকে ঢাকার ‘হোটেল সুপার স্টার’, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ‘হোটেল আল নাহিদ’, আগারগাঁওয়ের ‘বোর্ড রেস্ট হাউস’, ঢাকার ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী হোস্টেল’ ও শ্যামলীর ‘স্যাপ বাংলাদেশ গেস্ট হাউস’সহ বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
সম্প্রতি শিক্ষিকা বিয়ের জন্য চাপ দিলে অধ্যক্ষ তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এ ছাড়া অভিযোগ দিয়ে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কৈফিয়ত তলব করেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া মানসিক চাপ সৃষ্টিসহ হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও এজাহারে দাবি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অধ্যক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, শিক্ষিকাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকেই অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।