স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা: অভিযুক্ত কাউছার আটক
নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণকে (১৬) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কাউছার মিয়াকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বুধবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বেলা তিনটার দিকে উপজেলার প্রেমনগর সালিপুরা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি ধানখেতের পাশে একটি জঙ্গলে কাওছার পলাতক ছিলেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। কাওছারকে এখন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বিকেল চারটার দিকে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হবে।
জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, ধানখেতের পাশে একটি জঙ্গলে কাওছার লুকিয়ে ছিলেন। ডিবি সদস্য মতিউর রহমান ও চান মিয়া সেখান থেকে তাঁকে আটক করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাওছার হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: স্কুল থেকে ফেরার পথে বখাটের কোপে প্রাণ গেল ছাত্রীর
এ বিষয়ে বারহাট্টা থানার ওসি খোকন কুমার সাহা বলেন, বিকেল পৌনে চারটার দিকে নিহত মুক্তির বাবা মামলা করতে থানায় এসেছেন। এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মুক্তির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে স্কুল থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় ছালিপুরা এলাকায় স্কুলছাত্রী মুক্তিকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে কাউছার। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মুক্তি উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর অভিযুক্ত কাওছার একই গ্রামের মো. শামসু মিয়ার ছেলে।
এদিকে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে আজ বারহাট্টায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা দেড়টার দিকে বারহাট্টা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের সড়কে নারী প্রগতি সংঘ, ইয়ূথ গ্রুপ, কমিউনিটি ফোরাম ও সর্বস্তরে নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বক্তারা অভিযুক্ত কাওছারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।