সালিশের মধ্যেই যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুপক্ষে গোলাগুলি
ময়মনসিংহ মহানগরীতে সালিশ চলার সময় যু্বলীগ-ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ তিন জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মহানগরীর বাঁশবাড়ি কলোনি মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- বাশবাড়ী কলোনির আদিল মিয়ার ছেলে মো. আজমুন (১৮) একই এলাকার মো. আব্দুস সালামের ছেলে মাহমুদুল হাসান জয় (২২) এবং আহত হয়েছেন বাদল মিয়া (৪০)।
গুলিবিদ্ধ দুইজনকেই ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে, তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ওসি কামাল আকন্দ। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শ্রাবণ এবং বাঁশবাড়ী কলোনির পুকুরপাড় এলাকার যুবলীগ কর্মী গোপালের মারামারি হয়।
তিনি জানান, বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন ও কাউন্সিলর আনিসুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বাশবাড়ি কলোনির মোড়ে সালিশ বসেন। সালিশ চলার সময় শ্রাবণ গ্রুপ ও গোপাল গ্রুপ উত্তেজিত হয়ে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ সভাপতি পেটালেন মা'সহ শিক্ষার্থীকে, লাঞ্ছিত শিক্ষকও
‘‘এতে শ্রাবণ গ্রুপের আজমুন ও মাহমুদুল হাসান জয় গুলিবিদ্ধ হয়। এদিকে গোপাল গ্রুপের মো. বাদল মিয়া নামে একজন আহত হয়।”
১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বলেন, “আমরা ঘটনাটি মীমাংসার জন্যই বসেছিলাম, কিন্তু স্থানীয় কয়েকজনের অসহযোগিতার জন্য বিষয়টি সংঘর্ষে রূপ নেয়।” ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেনও। তিনি বলেন, “এলাকায় যাতে কোনো ঝামেলা চলমান না থাকে সেজন্যই আমরা চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।”
এদিকে, দুপক্ষে গোলাগুলির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি গোপাল ওরফে সুমনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুমন নগরীর বাঁশবাড়ি কলোনির মন্টু সাহা ওরফে মন্টু চন্দ্র দের ছেলে। তিনি যুবলীগকর্মী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় শনিবার (২৯ এপ্রিল) গুলিবিদ্ধ মাহমুদুল হাসান জয়ের বাবা মো. আব্দুস সালাম বাদী হয়ে তিনজনের নামে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন।