মাদরাসা শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করল ভাতিজা
পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুরে এক মাদরাসা শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের নাম মাওলানা সাদেক আলী প্রামাণিক (৬০)। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা রবিউল ইসলামকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম একই গ্রামের তমিজ উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। রবিউল সম্পর্কে নিহত সাদেক আলী প্রামাণিকের চাচাতো ভাইয়ের ছেল।
নিহত মাওলানা সাদেক আলী পাবনার পুষ্পপাড়া কামিল মাদরাসার শিক্ষক। তিনি গয়েশপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির। গয়েশপুর ইউনিয়নের রথখোলা গ্রামের তোরাব আলী প্রামাণিকের ছেলে তিনি।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন মাওলানা সাদেক আলী প্রামাণিক। এ সময় পাশের খড়ের পালায় লুকানো রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে রবিউল। এ সময় স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহতের বড় ছেলে নাজমুস সাকিব বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন দেওয়ার জন্য রাজশাহীতে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ সেদিন শুনতে পাই বাবাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শত চেষ্টা করেও বাবাকে বাঁচাতে পারলাম না। বাবাকে যে হত্যা করেছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নববধূকে নিয়ে ফেরার সময় ট্রলার ডুবে নিখোঁজ বর
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, বুধবার বাড়ির সামনে বসেছিলেন রবিউল। নিহত সাদেক আলী প্রামাণিক তার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রবিউল। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে পরে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে মানসিক বিকারগ্রস্ত। ঘটনায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তা তদন্তের পর জানা যাবে।