ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ৯ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহ নগরীতে ছাত্রলীগ নেতা আরমান আলীকে পিটিয়ে হত্যার প্রায় ৯ বছর পর পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি মো. রুমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে নগরীর বাড়েরা মসজিদ মার্কেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৭ বছর বয়সী রুমানের বাড়ি মধ্য বাড়েরা এলাকায়। নিহত আরমান বাড়েরা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০১২ সালের দিকে আরমান আলী ও রুমানের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রুমানের বড় ভাই আলমগীর হোসেন খুন হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ ছাড়াও তাদের মধ্যে টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মরাকুড়ি বাজারে দরবার বসে ও একপর্যায়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। এতে আরমানের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন রুমান।
র্যাব জানায়, ২০১৪ সালের ১০ জুন দুপুর দুইটার দিকে বাড়েরা মসজিদ মার্কেটের সামনে একা পেয়ে আরমানকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন রুমান ও তার লোকজন। পরে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান আরমান।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে রুমানসহ আরও ১১ জনের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন রুমান। গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ ৮ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন৷ বুধবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রুমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন রুমান। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।