২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৩৯

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদে মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নে মেয়েদের যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধামরাই প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গত শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা শামীম হোসেন ও শুকুর আলীসহ কয়েকজন বখাটে ঈদের দিন বিকালে কুশুরা ইউনিয়নের শাসন গ্রামে ঘুরতে আসা মেয়েদের উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানি করে।

মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতে দেখে রাজুসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন (২৩ এপ্রিল) বিকেলে একই এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডারত অবস্থায় স্থানীয় সন্ত্রাসী শামীম ও শুকুর আলীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী ফারুক, জুয়েল, রাসেল, সেলিম, শাকিল, রায়হানসহ আরও ৫-৭ জন রাজুর ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাজুর মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
 
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রাজুকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সোমবার (২৪ এপ্রিল) আহত রাজুর বড় ভাই সাংবাদিক বাবুল আহমেদ বাদী হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ধামরাই প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রশিদ তুষার, সাধারণ সম্পাদক আনিস উর রহমান স্বপন, ধামরাই রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আদনান হোসেন, ধামরাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী ইমাম জান কায়সারসহ ধামরাইয়ে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, স্থানীয় শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধামরাইয়ের কুশুরা এলাকায় যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় আমাদের সহকর্মী ও ধামরাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল আহমেদের ছোট ভাই মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদের (২০) ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এতে গুরুতর জখম হয়ে রাজু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।