বাবাকে খুনে দোষ স্বীকার বিসিএস ক্যাডার ছেলের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৫৫ PM , আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২৪ PM
রাজধানীর শেখেরটেক এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নুরুল আলম হত্যা মামলায় আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তার বিসিএস ক্যাডার ছেলে মোহাম্মাদ ইফতেখার আলম সুমন (৩৫)। আজ শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহিম আসামিকে আদালতে হাজির করেন। ইফতেখার আলম সুমন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর সুমনকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতে আদাবর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) এশারত আলী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত বৃদ্ধ নুরুল আলম (৭৪) চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর গ্রামের মৃত খয়রাত মিয়ার ছেলে। আটক ইফতেখার আলম সুমন একজন বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের অবসরপ্রাপ্ত উপ-প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা নূর আলমের (৭৪) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ৩৫ বছর বয়সী ছেলে ইফতেখারকে নিয়ে শেখেরটেকের ৭ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাসার দোতলায় ভাড়া থাকছিলেন।
আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা যে আবেদন করেন, তাতে বলা হয়, গত বুধবার দুপুরের দিকে দুধ কিনতে দোকানে যান ইফতেখার। দাম নিয়ে দোকানির সঙ্গে ঝগড়া হয় তার। এরপর বাসায় ঢোকার সময় নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গেও ঝগড়া হয়। বাসায় এসে দরজা বন্ধ করে দেন।
বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে বাড়ির মালিক নিরাপত্তাকর্মীকে নিয়ে ইফতেখারের কাছে বাসা ভাড়া চাইতে গেলে তার সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন ইফতেখার। নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করেন।
তারা বিষয়টি ইফতেখারের বাবা নুরুল আলমকে জানাতে বাসায় প্রবেশ করলে রুমের ভেতর খাটের ওপর তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। পরে তাদের খবরে পুলিশ লাশটি উদ্ধারের পাশাপাশি ইফতেখারকে আটক করে।
ইফতেখার মানসিকভাবে অসুস্থ বলে তার পরিবারের কাছ থেকে জানতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার আজিজুল হক।
এর আগে ঘটনার দিন আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানিয়েছিলেন, আটক সুমন একজন বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন। গত ছয় মাস ধরে অফিসে যান না বলে জানতে পেরেছি। তবে এই বিষয়ে আমরা আরও খোঁজ খবর নিচ্ছি।