শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী নারীর যৌন হয়রানির অভিযোগ
পটুয়াখালীর দুমকিতে টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী নারীর যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রতিবন্ধী এ নারীর অভিযোগের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিযুক্ত মুরাদিয়া বশিরিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: আমিনুল ইসলাম।
শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে প্রেসক্লাব দুমকির হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন ওই শিক্ষক মো: আমিনুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে জানান, তাদের একই বাড়ির বাসিন্দা জাফর মীরার মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা প্রতিবন্ধী আফসানা বেগম (৩৫)। গত দু'বছর আগে তার কাছে আমি জমি বন্ধক রেখেছিলাম। সে মোতাবেক তাকে সেই জমি ভোগদখল করতেছিল। গত বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে ছেলের অসুস্থতার কথা বলে আমার বন্ধককৃত জমির টাকা ফেরত চায়। মাসের শেষ বলে তাকে টাকা দিতে না পারার কারনে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন।
এসময় সাবেক ইউপি সদস্য রেজা ও পাড়াপ্রতিবেশি উপস্থিত ছিলেন। পরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আমার শত্রুপক্ষের ইশারায় আমাকে ঘায়েল করতে ঠোঁট-মুখ ফাটিয়ে মিথ্যা-কাল্পনিক নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন মহলে যৌন হেনস্তার অপবাদ দিয়ে আসছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আমিনুল ইসলাম আরও জানান, আফসানা স্বামী পরিত্যাক্তা ও পরিবারে ২/৩ জন প্রতিবন্ধী হওয়াতে সকলের মানবিক সহায়তা পেতে পেতে এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
অভিযোগটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলছেন স্কুল শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলামের স্ত্রী নারগীছ আক্তার (নাছরিন)। তিনি বলেন, আমার স্বামীর চরিত্র সম্পর্কে আমি ভাল জানি। আমার স্বামী একজন স্কুল শিক্ষক, দেশ গড়ার কারিগর। সে কোন ধর্ষক নয়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সত্য ঘটনা প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: নামাজের সময় স্কুলের আসবাব চুরি করলেন ছাত্রলীগ নেতা!
এ বিষয়ে অভিযোগকারী প্রতিবন্ধী আফসানা বেগম জানান, আপনারা তদন্ত করেন। সে (আমিনুল ইসলাম) আমার বোনেরও ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে তার স্বামীকে বিদেশ নিবে বলে। আমার মায়ের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা নিয়েছে এবং আমার কাছে জমি বন্ধক দিয়েছে। তা ফেরত নিয়ে টাকা চাইতে গেলে আমাকে এসব নির্যাতন চালায়।
তিনি আরও জানান, পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে আমিনুল মাস্টার আমাকে ঘরের পেছনে টেনে হিছড়ে উঠিয়ে ঠোঁট কামড় দিয়েছে এবং বিভিন্ন অঙ্গে হাত দিয়েছে।
যৌন হেনস্থার বিষয়ে মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান শিকদার বলেন, আমার মনে হয় এটা সঠিক নয়। তবে তারা (আফসানার পরিবার) টাকা পাবে দাবি করে কিন্তু মাষ্টারের পরিবার বলে পাবে না।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, যৌন নির্যাতনের বিষয়ে কোন অভিযোগ নেই। তবে মারধরের অভিযোগ রয়েছে।