সিলিং ফ্যানে ঝুলছিল এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ
এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে একা ঘরে রেখে কীর্তনে যান বাবা-মা। কীর্তন থেকে বাসায় ফিরে মেয়েকে অনেক ডেকেও রুমের দরজা খুলতে পারেননি তারা। তাই বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। রুমের মধ্যে গিয়ে দেখেন, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে মেয়ে। পরে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার সকালে এমন ঘটনা ঘটেছে ভোলা জেলার লালমোহন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এলাকায়। মৃত ওই কিশোরীর নাম মিথিলা মজুমদার (১৬)। সে মাস্টারপাড়া এলাকার দীপক স্বর্ণকার ও কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কনিকার মেয়ে। এছাড়া স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে মিথিলার এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা ছিল।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে মিথিলাকে ঘরে রেখে পাশের মন্দিরের কীর্তনে যান বাবা দীপক স্বর্ণকার ও মা কনিকা। এর কিছু সময় ফিরে তারা দেখেন মিথিলার রুমের দরজা বন্ধ। এরপর তাদের অনেক ডাকাডাকির পরেও মেয়ে দরজা না খোলায়, দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে বাবা। তিনি গিয়ে মিথিলাকে রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে, সেখান থেকে নামিয়ে দ্রুত লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিথিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে সে কেনো আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি।
লালমোহন থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছিল। তবে অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।