পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস নিলেন স্কুলশিক্ষিকা
রাজধানীর গেন্ডারিয়ার কোম্পানীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে মালেকা জুবায়দা রহমান সুমি (৩০) নামের এক শিক্ষিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে তিনি গলায় ফাঁস দেন। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল তিনটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বামীবাগের চাইল্ডস ফেয়ারলি ল্যান্ড টিউটেরিয়াল স্কুলে প্রায় ১৬ বছর ধরে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে ছিলেন সুমি। আর স্বামী আবদুল কাইয়ুম গাড়ির এসি মেরামতের কাজ করেন এবং পাশাপাশি এসির ব্যবসাও রয়েছে তার।
হাসপাতালে কাইয়ুম জানান, কোম্পানীগঞ্জে তাদের তিনতলা বাড়ির নিচতলায় থাকেন তারা। সুমি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তার মেয়েই ৬ মাস আগে তারই স্কুলের শিক্ষিকার সঙ্গে কাইয়ুমের বিয়ে দেয়।
কাইয়ুম জানান, কয়েক বছর আগে তার প্রথম স্ত্রীর খালার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে এনেছিলেন। নিয়মিত সেই টাকার সুদ পরিশোধ করেন তিনি। তবে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তার প্রথমম স্ত্রীর বড় ভাইয়ের বউ ও বড় বোন তাদের বাসায় এসে সেই টাকার জন্য গণ্ডগোল করে এবং কাইয়ুমকে বকাঝকা করে। এসব দেখে কিছুক্ষণ পর সুমি নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। তখন কাইয়ুম তাকে অনেক ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছেন সুমি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।