স্ত্রী-শ্যালকসহ বাকৃবিতে পেটানো হলো বিজ্ঞানীকে, ভিন্ন দাবি প্রক্টরের
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিজ্ঞানী সামছ আল মাহমুদকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) প্রতিবাদ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভিন্ন দাবি করেছে।
বিজ্ঞানীর অভিযোগ, বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বরের মোড়ে তাদের মারধর করা হয়। মারধরে সঙ্গে থাকা স্ত্রী ও শ্যালক নিয়াজুর রহমান শিবলীকেও মারধর করে আহত করা হয়েছে বলেদাবি করেন তিনি। শামস আল মাহমুদ ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, রাত ১০টার দিকে স্ত্রী ও শ্যালককে নিয়ে জব্বারের মোড়ের হোটেলে খাওয়ার জন্য যান।
সেখানকার তৃপ্তি হোটেলে ঢোকার সময় প্রাইভেট কার থেকে নেমে প্রান্ত নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী জিজ্ঞাসা করে, ‘এতো রাতে এখানে কী করিস?’ এ সময় পরিচয় ও খাওয়ার জন্য এসেছি বলে তাদের জানাই। কিন্তু প্রান্ত জবাবে বলে, বিনায় চাকরি করিস আর আমাকে চিনিস না—এভাবে তুই-তোকারিও করতে থাকে।
শামস আল মাহমুদ বলেন, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কয়েকজন কর্মী এসে যোগ দেয় এবং থাপ্পড় মারে। স্ত্রী ও শ্যালক বাধা দিলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখে আমরা বাসায় চলে আসি। এরপর তিনজনই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। এর প্রতিবাদে বিনার বিজ্ঞানীরা বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে বলে তিনি জানান।
বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মহির উদ্দিন বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার পর ক্যাম্পাসে মেয়ে মানুষ নিয়ে ঘোরাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজন দুটি গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পাসে টহলের সময় দেখি, জব্বারের মোড়ে দুই যুবক একটি মেয়েকে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এত রাতে কী করছেন জানতে চাইলে তারা উত্তর না দিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন।’
তিনি দাবি করেন, আশপাশ থেকে বাকৃবির কয়েকজন ছাত্র আসলে তাদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরা কেউ ছাত্রলীগ কর্মী কিনা জানা নেই। পরে জানা গেছে, ওই ভদ্রলোক বিনার বিজ্ঞানী। তাদের মারধরও করা হয়নি।