পাসপোর্ট দালাল চক্রের ১৪ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব
নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে পাসপোর্ট দালাল চক্রের ১৪ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ ৭৪ হাজার ৬২০ টাকা, একটি পাসপোর্ট, পঁয়ত্রিশটি জাতীয় পরিচয় পত্র, দুটি সীল, পাসপোর্ট ডেলিভারির আটটি রশিদ জব্দ করে (র্যাব)।
সোমবার (২০মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১১-এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. মাহমুদুল হাসান।
র্যাবের হাতে আটককৃতরা হলেন পাসপোর্ট দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য পারভেজ হোসেন, সাজ্জাদুর রহিম, রবিউল হক, শামীম, রোকনুজ্জামান, নাসির উদ্দিন বাবুল, কামাল উদ্দিন, রবিউল হোসেন, নিজাম আলী জনি, হাসান আকবর, মিরাজ উদ্দিন, ইলিয়াছ, কামরুল ইসলাম ও আবুল হাশেম।
র্যাব জানিয়েছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে রবিবার বিকেলে নোয়াখালী সদরে অভিযান চালিয়ে নয়জন পাসপোর্ট দালাল চক্রের সদস্যকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের গাবুয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচ দালালকে আটক করে তারা। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করা হয়।
আটককৃত সবাই পাসপোর্ট দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য জানিয়ে র্যাব বলছে, তারা পরস্পরের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে পাসপোর্ট প্রত্যাশী সাধারণ মানুষকে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে নিজেদের অবস্থান ঠিক রাখতে সিন্ডিকেট তৈরি করে মানুষকে হয়রানি করে আসছিল প্রতারক চক্রটি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের সাথে আর্থিক লেনদেন ও বিভিন্ন ডকুমেন্টস আদান প্রদানের তথ্যও পাওয়া গেছে।
কোম্পানি কমান্ডার লে. মাহমুদুল হাসান জানান, আটককৃত পাসপোর্ট দালালদের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় ও বেগমগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তাদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। র্যাবের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।