১৮ মার্চ ২০২৩, ২০:০৭

কারাগার থেকে বের হলেন মাহি

মাহিয়া মাহি  © সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় গ্রেফতার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।

গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার মো. আনোয়ারুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আমরা তার জামিনের খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে কারাফটকে এনেছি। পরে জামিনের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা ৭টা ৫০ মিনিটে তার স্বজনেদের হাতে তুলে দিয়েছি। 

এর আগে শনিবার  বিকেলে জামিন দেন আদালত। কারাগারে যাওয়ার সাড়ে ৩ ঘণ্টা পরেই জামিন পান মাহি। বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তার জামিনের আদেশ দেন।

মাহিয়া মাহির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার সাদাত, অ্যাডভোকেট রিপন চন্দ্র সরকার এবং অ্যাডভোকেট নবীজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রেগনেন্সি ও সেলিব্রেটি বিবেচনায় আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান মাহির আইনজীবী আনোয়ার শাহাদাত সরকার।

এর আগে আজ বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাহিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন মাহিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. আহসানুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মাহিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতের বিচারক মাহিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার রিমান্ড চাওয়া হয়নি।

মাহি স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে ওমরাহ হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গিয়েছিলেন। মাহির সঙ্গে দেশে ফেরেননি রকিব। তিনি গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। 

শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

এ ছাড়া জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।

এর আগে শুক্রবার ভোরে স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ পালনরত মাহি সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে ফেসবুক লাইভে রকিবের গাড়ির শো-রুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন।

এ সময় মাহি দাবি করে বলেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেখানে দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। তারা শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাব, দরজা-জানালা, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে। শোরুমের সাইনবোর্ড খুলে ফেলেছে। অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে গেছে।

ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকার নামে দুজনের নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মাহি। এ সময় ফেসবুকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি।