০৭ মার্চ ২০২৩, ১১:৫৭

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মৌমিতা ‘হত্যার’ প্রমাণ পায়নি পুলিশ

তাজরিয়ান মোস্তফা মৌমিতা  © ফাইল ছবি

রাজধানীর কলাবাগানে ছাদ থেকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তাজরিন মোস্তফা মৌমিতার মৃত্যু হয়। দুই বছর আগের  এ ঘটনায় পরিবার পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এর তদন্ত এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই কার্যক্রম শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেবে পুলিশ। মামলার আসামিরা হলেন- আমির হামজা আদনান, ফরহাদ আহমেদ ফাইজার, তানভীর, ত্রিনয়ন ও অপরাজিতা। 

জানা গেছে. তদন্তে হত্যাকাণ্ডের কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিশ। যে কারণে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হতে পারে।আসামি আমির হামজা আদনানকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, মৌমিতা ছাদে ওঠার আগে বা পরে কেউ ওঠেনি।

মৌমিতা ছাদে উঠে পড়ে পড়ে মারা যান। তাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ। বিষয়টি ইতোমধ্যে মামলার বাদীকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই এজাহারভুক্ত আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ময়নাতদন্ত, ফরেনসিকসহ অনেক রিপোর্ট থাকায় শেষ করতে দেরি হয়েছে। শিগগির প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, মৌমিতা পরিবারের সঙ্গে কলাবাগানের ৮ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলায় বসবাস করে আসছিলেন। ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সাততলা ভবনটির ছাদে ওঠেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিবার জানতে পারে, মেয়ে ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন। পরে  ময়নাতদন্ত শেষে লাশ রায়েরবাজার কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় ১ মার্চ রাতে তার বাবা মো. কামাল মোস্তফা খান শামীম পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তিনি বলেন, মেয়ে আত্মহত্যা করবে, এমন ধরনের কোনও ঘটনা ছিল না। পুলিশ হত্যার অভিযোগ পায়নি বলে জানিয়েছে। নির্দোষ কেউ যেন ভুক্তভোগী না হয়, আমরা সেটাই চাই।

মালয়েশিয়ার বেসরকারি এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (এপিইউ) ছাত্রী ছিলেন তাজরিয়ান মোস্তফা মৌমিতা (২০)। তিনি দেশটিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। করোনার সময় দেশে ফিরেছিলেন তিনি। ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক ছাত্রী মৌমিতা।