০৪ মার্চ ২০২৩, ২০:২২

স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয় মরদেহ

আটক অভিযুক্তরা  © সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে হত্যা করে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা।

শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার শাহজাহান (২৬), শহিদ মিয়া (৩৮), আলমগীর হোসেন (২৮), রাসেল মিয়া (১৯) ও পলাশতলী এলাকার মাসুম বিল্লাহ ওরফে ফজর আলী (২২)।

নিহত ফাতেমা আক্তার ফুলবাড়িয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পুলিশ সুপার জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া রঘুনাথপুর এলাকায় বাড়ির পাশের আম গাছ থেকে অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ফাহিমার ঝুলন্ত মরহেদ উদ্ধার করে পুলিশ। এটি নিছক আত্মহত্যা, না কি হত্যাকাণ্ড তা জানতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার ছয়দিন পর মাসুম ও শাহজাহান নামে দুজনকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে বিকৃত যৌনাচারের পর স্কুলছাত্রী ফাহিমাকে হত্যার রহস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা আড়াল করতেই হত্যা করে গাছে ঝুলানোর নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করে তারা।

পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূইয়া আরও বলেন, তাদের গ্রেফতারের পর সিরিয়াল রেপিষ্ট শাহজাহান ও মাসুমের বিরুদ্ধে পর্নগ্রাফি, নারী নিযাতন ও ধর্ষণের বেশ কয়েকটি মামলার তথ্য বেরিয়ে আসে। তাদের টার্গেট গ্রামের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী আর প্রবাসী স্ত্রীদের অপহরণ করে ধর্ষণ করা।

উল্লেখ, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে নিখোঁজ হয় ফাহিমা। পরের দিন ভোরে বাড়ির পাশে আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ফাহিমাকে দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালে গণধর্ষণের পর হত্যার আলামত পায়। পরে ওই দিন স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৫ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।