রাবি অধ্যাপককে হত্যার আসামিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দু’জন ও যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামির আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ।প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) এ আদেশ দেন। ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এস তাহের।
এ রায়ের ফলে বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসিতে ঝুঁলতেই হবে। এমন তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে এর আগে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন তারা। যাবজ্জীবন দণ্ডিতদের সাজা ভোগ করতে হবে।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এস এম শাহজাহান, সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী ও নিখিল কুমার সাহা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তিন আসামির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ২ মার্চ আদেশের জন্য দিন রাখেন আদালত।
২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলার দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল ও অন্য দুজনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আসামিরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক ড. এস তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।
২০০৮ সালের ২২ মে ওই মামলায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্ট দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে অন্য দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।