২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৫:১৫

টাকা ফেরত পেলেন ইভ্যালির ১৪ গ্রাহক

ইভ্যালি  © ফাইল ছবি

অবশেষে দেড় বছর পর শুরু হয়েছে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গ্রাহকদের পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে টাকা দেওয়া শুরু করার পর এ পর্যন্ত ১৪ জন গ্রাহকের এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৬৭ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাঈদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইভ্যালির গ্রাহকদের মোট ২৫ কোটি টাকা আটকা আছে পেমেন্ট গেটওয়েতে। এর মধ্যে ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এমএফএস নগদে, ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা বিকাশে এবং ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা এসএসএলে আটকা রয়েছে।

সাঈদ আলী জানিয়েছেন, ইভ্যালির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের অনাপত্তির ভিত্তিতে এই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গেটওয়ের পুরো টাকাই পরিশোধ করা হবে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে এসক্রো পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার পর ইভ্যালির মত ই কমার্স সাইটের গ্রাহকদের কাছ থেকে আগাম টাকা নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়। তবে এর আগেই গ্রাহক, মার্চেন্ট ও সরবরাহকারীদের হাজার কোটি টাকা চলে যায় ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে। দেউলিয়া হওয়ার পথে থাকা ইভ্যালি গ্রাহকের কোনো টাকাই এতদিন ফেরত দিতে পারেনি। টাকা বকেয়া থাকার কারণে অ্যামাজনে থাকা ইভ্যালির সার্ভারটিও বন্ধ রাখা হয়েছে।

নতুন সার্ভার খুলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ই-ক্যাব ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের পরিবারের সদস্যদের পরিচালনায় এখন চলছে ইভ্যালি। ফলে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া গ্রাহকের টাকার হিসাব চাপা পড়ে আছে। গাড়ি, মোটরসাইকেল, গৃহস্থালির আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন বিলাসী পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের নজরে এসেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

তাদের চমকদার অফারে অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায়। কিন্তু তাদের অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি, ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেওয়া তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি।

এর আগে গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। শামীমা জামিনে মুক্তি পেলেও এখনও কারাগারে আছে রাসেল।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মোট চলতি দায় ছিল ৫৪৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে মার্চেন্ট বা পণ্য সরবরাহকারীরা পাবেন ২০৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর গ্রাহকদের পাওনা ৩১১ কোটি টাকা।