ছাত্রলীগ সভাপতির মারধরের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
সাতক্ষীরায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় দুজনকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আবিদ হাসানের বিরুদ্ধে। মারধরের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টা থেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসীরা জানায়, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী শেখ ফাহিম ফয়সালকে বুধবার তুলে নিয়ে যান একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আবিদ হাসান ও তার সহযোগীরা। মারধর করে তার কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেন তারা। এ ছাড়া ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় শাফায়াত আলী মুক্ত, ব্যাবসায়ী বাবু ও লাবসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করেন আবিদ হাসানসহ ২০-২৫ জন বহিরাগত।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, মারধর ও লুটপাটের পর ওই স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবুকে তুলে নিয়ে আটকে রাখেন তারা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।
মারধরের শিকার শাফায়াত আলী মুক্ত ও মেম্বার মনিরুল ইসলাম বলেন, শুধু ফাহিম নয়, এই প্রতিষ্ঠানের আরও অনেক ছাত্রকেই বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকে ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ হাসানসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা। প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয় তাদের।
তারা জানান, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও তার সহযোগীরা স্থানীয় বিভিন্ন দোকান থেকে চা-সিগারেট খেয়ে বিল পরিশোধ করেন না। এ ছাড়া দোকান থেকে জোর করে মালামাল নিয়ে চলে যান তারা। প্রতিবাদ করলে ‘পকেটে গাঁজা ঢুকিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি’ দিয়ে থাকেন তারা।
এ নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ মো. ফখরুল আলম খান বলেন, অপরাধীরা এরই মধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।