পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় অভিনেত্রী গ্রেপ্তার

আটকের পর ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া থেকে সুকৌশলে ছদ্মনাম সুহাসিনী ওরফে অধরা
আটকের পর ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া থেকে সুকৌশলে ছদ্মনাম সুহাসিনী ওরফে অধরা  © সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহ আলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) হুমায়ুন কবির (৪৪) হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া ওরফে সুহাসিনী ওরফে অধরাকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৩ এর একটি দল বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৫৮ গ্রাম গাঁজা, ২টি মোবাইলফোন ও পরিচয় পরিবর্তনের উদ্দেশে তৈরি ১টি জাল এসএসসি সার্টিফিকেট জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৩ সালে শাহ আলী থানায় কর্মরত এএসআই হুমায়ুন কবিরকে শ্বাসরোধপূর্বক বিষক্রিয়া ইনজেকশন গায়ে প্রবেশ করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় আদালত রিয়াকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন রিয়া। অতঃপর দীর্ঘ ১০ বছর পলাতক থাকার পর গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রিয়াকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ‘তোরা তো ঠিকঠাক রেপও করতে পারিস না’, র‌্যাগিংয়ের সময় ছাত্রলীগ নেতা

তিনি বলেন, কবিরকে হত্যা করার পর রিয়া পালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করে পলাতক জীবনের সূচনা করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে জাল এসএসসি সার্টিফিকেট তৈরি করে ঢাকায় এসে একটি মাল্টিমিডিয়া কোম্পানির সেলসম্যান হিসেবে চাকরি শুরু করেন।

তিনি আরও বলেন, পরে ২০১৬ সাল থেকে মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে চিত্রজগতের সাথে জড়িয়ে পরেন রিয়া। এক পর্যায়ে চিত্রজগতের সাথে তার দৈনন্দিন অভিনয় জীবন চলমান থাকা অবস্থায় তার ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রের নাম ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া থেকে সুকৌশলে ছদ্মনাম সুহাসিনী ওরফে অধরা নামে পরিচয়পত্র পরিবর্তন করেন।

পরবর্তীতে এ নামে চিত্র জগতে নিজেকে বিখ্যাত মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় একটি বাসায় নিজেকে আত্মগোপন করে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। গ্রেপ্তার রিয়ার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।