বিয়ের দাবিতে ভাগিনার বাড়িতে মামী
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ের দাবিতে ভাগিনা সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন মামী। তিনি ওই যুবকের আপন মামার সাবেক স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী। ডিভোর্সি ওই নারীর অভিযোগ বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে সাবেক স্বামীর আপন ভাগিনা সাদ্দাম হোসেন। এখন বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকায় সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী। সাদ্দাম হোসেন ওই এলাকার হারুন উর রশিদের ছেলে। তিনি উত্তরা ইপিজেডে দোভাষী হিসেবে কাজ করেন।
ওই নারী বলেন, সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে গত ৬ মাস যাবত তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। প্রথমদিকে শুধু মোবাইলে কথা বলার পর্যায়ে থাকলেও গত সেপ্টেম্বরে স্বামী আরেকটি বিয়ে করায় তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। এ সংক্রান্ত মামলা চলাকালে সাদ্দাম সহযোগিতা করে। এতে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়।
‘একপর্যায় সে আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। রংপুরের একটি আবাসিক হোটেলে আমরা একাধিকার মিলিত হয়েছি। কিন্তু বিয়ের কথা বলায় একমাস যাবত সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সাদ্দাম। তাই বাধ্য হয়ে তার বাড়ির সামনে অবস্থান করছি। সাদ্দাম আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’
এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই মুঠোফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন সাদ্দাম হোসেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ৩৫ বছরের ওই নারীকে দেখতে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ভিড় করছেন সাদ্দামের বাড়িতে।
এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেনের বাবা হারুন উর রশিদ বলেন, ওই নারীর দুটি মেয়ে আছে। তাদের একজন নবম শ্রেণির ছাত্রী। চারিত্রিক ত্রুটির কারণেই স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সাদ্দামকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে ওই নারী। আর এখন পরিবারসহ তাকে ব্লাকমেইল করতে এমন অপতৎপরতা শুরু করেছে। যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।