পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় অধ্যক্ষসহ গ্রেফতার ৫
গাজীপুর মহানগরীর সালনা এলাকায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, গাজীপুর মহানগরীর সালনা নাসিরুদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিন, মতিউর রহমান, মাকসুদুর রহমান, মোবারক হোসেন ও তামিম হোসেন তন্ময়।
আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিনের অন্যায় আচরণের কারণে তার পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সকালের দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় অধ্যক্ষ ও বাকিদের উস্কানিতে বহিরাগতরা পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি ও পুলিশের একটি পিকআপ ভাঙচুর করেন। ওই ঘটনায় উপপরিদর্শক উৎপল কুমার বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওসি জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের পিকআপ ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কলেজের অধ্যক্ষসহ বহিরাগত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ওই শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন।
আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা জানান, ওই শিক্ষকের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা রাস্তা থেকে যাবেন না। ওই শিক্ষক তাদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেন। একজনের বেতন এক মাসের বাকি থাকলে ক্লাস থেকে বের করে দেন। কোনো অভিযোগ নিয়ে গেলে সমাধান করেন না। কোনো ম্যানিজিং কমিটি নেই, ক্লাস হয় না ঠিকমতো কিন্তু এগুলো বলতে গেলে অভিভাবক ও আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় জরুরি বৈঠকে ইবি ভিসি
নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অন্যায় আচরণসহ নানা অভিযোগে এনে তারা পদত্যাগের দাবিতে কয়েকদনি ধরেই আন্দোলন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাস ও পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ ও অবরোধ করে। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং তাদের বহনকারী পিকআপ গাড়িটি কলেজের মাঠে রাখে। একপর্যায়ে মহাসড়ক থেকে কিছু শিক্ষার্থী মাঠে থাকা পুলিশের গাড়িতে ইট-পাটকেল ছুড়ে এবং হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময়ে অধ্যক্ষ ও আওয়ামী লীগ নেতার উসকানিতে বহিরাগতরা পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও পুলিশের পিকআপ ভাঙচুর করে।