ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ইডেনছাত্রীর মামলা!
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোনায়েম হোসেন জেমসের বিরুদ্ধে। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ অভিযোগে ঢাকার লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা কলেজছাত্রী। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে মোনায়েম হোসেন জেমসকে।
অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোনায়েম হোসেন তাড়াশ উপজেলার হেমনগর গ্রামের মো. আব্দুল ওহাবের ছেলে। তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বর্তমান সদস্য। মামলার বাকি আসামিরা হলেন, মোনায়েম জেমসের বাবা আব্দুল ওহাব ও ভাই জাকির হোসেন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকায় ইডেন কলেজে পড়াশোনা করা অবস্থায় বাদীর (কলেজছাত্রী) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম হোসেন জেমস। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে বাদীকে লালবাগের রসুলবাগের একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন মোনায়েম। এ অবস্থায় বাদী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন।
বিষয়টি জেমসকে জানালে তিনি বাচ্চা নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। বাধ্য হয়ে নির্যাতিতা নারী বিষয়টি জেমসের বাবা- ভাইকে জানান। কিন্তু তারাও বাচ্চাটি নষ্ট করার কথা বলে বিয়ের আশ্বাস দেন। কিন্তু বিয়ে না দিয়ে কৌশলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি মোনায়েম হোসেন জেমসের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের বিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন ওই কলেজছাত্রী।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মুর্শেদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলা ও অভিযোগের বিষয়ে মোনায়েম হোসেন জেমসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কুমার কর্মকার বলেন, মোনায়েম হোসেন জেম্স উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।