আ.লীগ নেতার মারপিটের ভয়ে বিদ্যালয়ের টয়লেটে প্রধান শিক্ষক, উদ্ধার করল পুলিশ
রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধর ও অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। পরে ৯৯৯ কল পেয়ে ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের বিড়ালদহ সৈয়দ করম আলী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সামাদ মোল্লা ১০-১৫ জন যুবককে নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। পরে তিনি আলোচনার এক পর্যায়ে পকেট থেকে একটি কাগজ বের করে প্রধান শিক্ষক কোরবান আলীকে সাক্ষর করতে বলেন। প্রধান শিক্ষক সাক্ষর না করায় আব্দুস সামাদ মোল্লা তার কলার ধরে টানাটানি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ করম আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কোরবান আলী বলেন, সৈয়দ করম আলী শাহ্ উচ্চবিদ্যালয়ে করোনাকালীন একটি এডহক কমিটি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন থেকে সেই কমিটি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য কার্যক্রম শুরু করেছি। কিন্তু আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) হটাৎ করে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সামাদ মোল্লাসহ স্থানীয় ১০থেকে১৫ জন ব্যক্তি আমার কাছে এসে একটি লিখিত কাগজে সাক্ষর করতে বলে।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, আমি ওই কাগজে সাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সামাদ মোল্লা আমার কলার ধরে টানাটানি করে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরে আমাকে মারার জন্য তেড়ে আসলে আমি বিদ্যালয়ের টয়লেটে আশ্রয় নেই। সেখান থেকে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুঠিয়া থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।
এবিষয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সামাদ মোল্লা বলেন, সৈয়দ করম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন থেকে কোনো কমিটি নেই। আজ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কমিটি করার জন্য বললে প্রধান শিক্ষক তাদের উপর চড়াও হন।
এ্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন বলেন, সোমবার আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে কল করে সাহায্য চান সৈয়দ করম আলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সঙ্গে সঙ্গে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষককে উদ্ধার করে। এঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন প্রধান শিক্ষক।